দাগনভূঞা উপজেলায় শীতকালীন সবজির চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। ভোর থেকে সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। জমি থেকে তুলছেন মুলা, লালশাক, পুঁইশাক, বেগুন, লাউ, কুমড়া, মরিচ, টমেটোসহ নানা রকমের সবজি।

সরেজমিনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সবজি জমিতে পরিচর্যা করছেন ও উপযোগী সবজি তুলছেন কৃষক গিয়াস উদ্দিন। তিনি এবার ১৮ শতক জমিতে সবজি চাষ করেছেন। তার জমিতে লালশাক, মুলাশাক, ঢেঁড়স, লাউ, বেগুন, ডাঁটাশাক, পালংশাক, কাঁচা মরিচ, ধনিয়াপাতা, পুঁইশাকসহ নানা রকমের শাক-সবজি ফলান তিনি। এসব সবজি জমিতে কোনো কৃষককে দেখা গেছে, সবজি গাছের গোঁড়া ঠিক করছেন। মাটি আলগা করে নেড়েচেড়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ হেলে পড়া কোনো গাছ চোখে পড়লে ঠিক করে দিচ্ছেন। মাটি আলগা করে নেড়েচেড়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ হেলে পড়া কোনো গাছ চোখে পড়লে ঠিক করে দিচ্ছেন। এভাবে শীতকালীন রকমারি সবজি নিয়ে কৃষকরা দিনের সিংহভাগ সময় জমিতেই পার করছেন। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে এসকল সবজি স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি করছেন।

এলাকার কয়েকজন বলেন, এখানকার কৃষকরা ভোর থেকেই কোদাল, নিড়ানি, বালতি, স্প্রে মেশিন ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সবজি পরিচর্যায়।

কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, জমি থেকে শীতকালীন টাটকা শাকসবজি চাষ করে নিজেদের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। সবজি চাষে উপজেলা কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করেছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন।

এলাকার অন্যান্য কৃষকরা জমি থেকে সবজি তুলছেন এবং স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি করছেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাবানা ছিদ্দিকা বলেন, শীতকালীন এসব সবজিতে পোঁকা বা রোগের আক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের প্রণোদনা ও পরামর্শ দেওয়াসহ নানাভাবে কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করে আসছে।